সেক্রেটারী শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন স্যার এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
আপনারা অবগত আছেন যে, বাংলাদেশে পেশাজীবি সংগঠনের মধ্যে অন্যতম সংগঠন ‘‘বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি’’। উক্ত সমিতির সদস্যবৃন্দ তথা র সায়নবিদদের নব্বই দশক পর্যন্ত রসায়নবিদদের কোন আবাসনের সু-ব্যবস্থা ছিল না। রসায়নবিদদের আর্থিক স্বল্পতার জন্য রাজধানীর আশে পাশে আবাসনের প্রয়োজনয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা কল্পনাতীত ছিল। বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভার পর্যদ এ রসায়ন সমিতির আজীবন সদস্য ও কার্যকরী পর্ষদের সদস্য জনাব এম,এ আজিজ মোল্লা, উক্ত সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় রসায়নবিদদের আবাসন প্রয়োজন বিধায় একটি আবাসন প্রকল্প গ্রহণের নিমিত্তে সভায় উপস্থাপন করেন। উক্ত বার্ষিক সভায় উক্ত বিষয়ের উপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সম্মানিত তৎকালীন সভাপতি প্রফেসর মেজবাহ উদ্দিন আহমদ উক্ত প্রস্তানটি অনুমোদনের জন্য পেশ করেন। সভায় সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি অনুমোদন লাভ করে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনাব এম,এ আজিজ মোল্লা-কে আহŸায়ক করে ৯ (নয়) সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। জনাব এম, এ আজিজ মোল্লা রসায়নবিদদের জন্য স্থায়ী আবাসনের স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ থেকে ২৫ বছর পূর্বে সেই জন্য আমরা সকল সদস্য/সদস্যার পরিবারবর্গের তরফ হতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১৯৯২ সনে ‘‘রসায়ন নগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’’ এর নামে আবাসন প্রকল্প প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর হতে আহŸায়ক কমিটি ‘‘রসায়ন নগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’’ রসায়নবিদদের জন্য আবাসন এলাকা হিসাবে প্রাথমিকভাবে বড় রাঙ্গামাটিয়া, পূর্ব সদরপুর ও গৌরীপুর মৌজার অন্তর্ভুক্ত স্থানটি নির্ধারণ করে। অতঃপর ধাপে ধাপে জমি ক্রয় করে এবং হানা-হানি/মারামারি ব্যতীত শান্তিপূর্ণভাবে অত্র সোসাইটির প্রকল্পটি বিস্তার লাভ করে। প্রকল্পের অভ্যন্তরে বিক্ষিপ্ত কিছু জমি দবিদ্যমান ছিল, তা দূরীকরণের নিমিত্তে বরিশাল সমিতির সাথে বহু আলাপ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সমিতিকে পশ্চিম পাশের্^ ্এওয়াজ বদলের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সমাধান করা হয়। হাজী কোমর আলী গংদেরকে ্প্রকল্পের পূর্ব পাশের্^র জমি এওয়াজ বদলের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান করা হয়। ইছামুদ্দিকে কোন ভাবেই প্রকল্পের এক পাশের্^ নিতে পারি নাই। অবশেষে তার নিজস্ব জায়গায় রয়েছে এবং অত্র সোসাইটিকে রাস্তার জন্য ৬ শতাংশ জমি প্রদান করেছেন। হাজী লাল মিয়া গংদেরকে প্রকল্পের পশ্চিম পাশের্^ জমি প্রদান করা হয় এবং সোসাইটির রাস্তার জন্য ৮ শতাংশ জমি প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে অত্র সোসাইটির বিজ্ঞ সার্ভেয়ার আবদুর রশিদ সাহেব এর মাধ্যমে প্রকল্পের মোট ৩৮.১৪ একর জমির উপর আবাসনের প্লটিং ডিমারকেশন করা হয়।
যা অত্র সোসাইটির সদস্যদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে প্রাপ্ত প্লট চিহ্নিত করার পর সম্মানিত সদস্যগণকে বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণকে প্রাপ্ত প্লট মোতাবেক জমি রেজিষ্ট্রেশন এবং মিউটেশন করে সদস্যদেরকে মূল দলিল ও জমি খারিজের কপি দিতে সক্ষম হয়। এ পর্যন্ত ৪৩৮ জন সম্মানিত সদস্যগণের জমি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। বাকী আরও ১৪ জন সদস্যের বরাদ্দকৃত জমি রেজিষ্ট্রেশন করা হয় নাই। উনাদেরকে বারং বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও অদ্যাবধি কোন সাড়া পাওয়া যায় নাই। প্রকল্পের মাঝে বর্তমাবে ৪টি প্লট আছে, যাহা নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে তা বরাদ্দের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকল্পের মাষ্টার প্ল্যানে কিছু সংক্ষক প্লটের অভ্যন্তরীন রাস্তা না থাকায় বিজ্ঞ সার্ভেয়ার নিয়োগের মাধ্যমে উল্লেখিত প্ল্যানে রি-সার্ভের মাধ্যমে অভ্যন্তরীন রাস্তার সংযোজন পূর্বক এবং একটি রাস্তা বন্ধ করে ২টি প্লট প্ল্যানে অনুর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রারম্ভ হতে এ পর্যন্ত সোসাইটির কার্যকরী পর্ষদ ক্রমান্নয়ে জটিল কাজগুলো সম্পাদন করছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। প্রকল্পের মাঝে বিদ্যুতায়নের জন্য একটি মাষ্টার প্ল্যানের কপি পেনড্রাইপের মাধ্যমে অনুর্ভুক্ত করে বিদ্যুৎ কনসালটেন্ট এর নিকট প্রদান করার জন্য প্রস্তত করা হয়েছে।
‘‘রসায়ন নগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’’ আবাসন প্রকল্পটি একটি বিরল নজির যাহা দৃষ্টান্তস্বরুপ উচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত রসায়নবিদদের নিয়ে একটি ‘‘আদর্শ আবাসন’’ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এই আবাসন প্রকল্পটি সার্কভুক্ত দেশে রসায়নবিদদের মধ্যে অন্যতম আবাসন প্রকল্প। তাই আমরা গর্বিত। প্রকল্পের মধ্যে রাস্তাগুলো হেরিং বন বন্ড এর কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে।
আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমানে বি,আর,এস নামজারী ও জমাভাগের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে কার্যক্রম চলছে। আপনারা যারা বি,আর,এস নামজারী ও জমাভাগ করতে আগ্রহী জরুরী ভিত্তিতে সোসাইটির সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
অত্র আবাসন প্রকল্পের বাহিরে সোসাইটির ক্রয়কৃত কিছু জমি বেদখল অবস্থায় বিদ্যমান। ইতিমধ্যে বাসাঈদ মৌজার ৪২.৬০ শতাংশ জমি দখলে আনতে সক্ষম হই। ইতিমধ্যে উক্ত মৌজার জমি হতে মহিলা মাদ্রাসাকে সাড়ে ছয় শতাংশ জমি ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৩৬.২৬ শতাংশ জমি ৯০,০০,০০০/- (নব্বই লক্ষ) টাকায় বিক্রি করা হয়েছে যা সোসাইটির হিসাবে জমা হয়।এছাড়া আরও ক্রয়কৃত পূর্ব সদরপুর মৌজায় ৪৭.৫ শতাংশ জমি রয়েছে তা উদ্ধারের প্রক্রিয়াধীন আছে।
‘‘রসায়ন নগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’’ আবাসন প্রকল্পের মধ্যে কমিনিউটি সেন্টার, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ^বিদ্যালয়, কো-অপারেটিভ মার্কেট, কেন্দ্রী মসজিদ, পাঠাগার, খেলার মাঠ, চেরিটেবল ক্লিনিক স্থাপন এবং বিনোদনমূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশেষে সম্মানিত সদস্য/সদস্যগণদের সুন্দর জীবন ও মনোরম পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করছি।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন
সেক্রেটারী
রসায়ন নগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ